বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও মানবতার জন্য বিপজ্জনক হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস-কানেল হামলাকে ‘বিপজ্জনক উসকানি’ এবং জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই হামলা মানবতাকে এমন এক সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যার পরিণতি হতে পারে অপরিবর্তনীয়। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু যুদ্ধ নয়, সারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিচ এক পোস্টে লিখেছেন, চিলি এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। কেবল শক্তি থাকার অর্থ এই নয় যে, আপনি তা ব্যবহার করবেন মানবতার নির্ধারিত নিয়ম লঙ্ঘন করে— এমনকি আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ বলে আখ্যায়িত করেন।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সংবিধানভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতির নীতিমালা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির আলোকে, আমরা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী ইসরাইলের অনুরোধে এই বোমা হামলা চালিয়েছে— আমরা এই হামলার দৃঢ় ও পরিষ্কার নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমরা অবিলম্বে সকল ধরণের শত্রুতার অবসান দাবি করছি। এ অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্বার্থে এটাই একমাত্র যৌক্তিক পথ।
লাতিন আমেরিকার এই প্রতিক্রিয়াগুলো থেকে স্পষ্ট— তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের যৌথ সামরিক পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাধান চাইছে।